চকরিয়া প্রতিনিধি ::
চকরিয়ার ডুলাহাজারা বাজারে পাথর বোঝাই ডাম্পার ধাক্কায় আহত ৩ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে। নিহত মীর আহমদ (৩৫) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে।
সোমবার (৩ জুন) সকালে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে সে মারা যায়। এর আগে গত ২৫ মে ভোরে পাথর বোঝাই কক্সবাজারমুখী একটি ডাম্পার চালকের ঝিমুনিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুলাহাজারা বাজারে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এসময় ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় চকরিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাম পায়ে মারাত্মক জখম হওয়ায় মীর আহমদের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
চিকিৎসা বাবদ ছয় লক্ষ টাকা খরচ করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে পারিবারিক সুত্রে জানান। আহত মীর আহমদ মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। দুর্ঘটনার দিন দশ চাকার পাথর বোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুলাহাজারা বাজার মহাসড়ক কিনারায় একটি ভাসমান দোকান চাপা দেয়।
ড্রাম ট্রাকটি সিলেটি পাথর নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এসময় গুরুতর আহত হয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত ছব্বত আহমদ সওদাগরের ছেলে মোঃ পিয়ারু ফরহাদ, বালুরচর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে মীর আহমদ ও ভাসমান দোকানের মালিক সুকুমার দে।
দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পর সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীর আহমদের মৃত্যু হলেও অন্যরা এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নড়ছে। দুর্ঘটনায় বাজারের মুমিন মার্কেট ও মানিকের মোবাইল লোড় দোকানের সামনে দুটি চলাচল সানসেট ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর গাড়ি এসে পাথরগুলো উত্তোলন করে নিয়ে যায়। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ স্থানীয় জনতার সহায়তায় ট্রাক ধাক্কায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ও চালককে পুলিশ হেফাজতে রাখে।
পাঠকের মতামত: